Wednesday, November 16, 2016

বইয়ের পাতায় প্রিয় হুমায়ূন

No comments :



বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক কে? এই প্রশ্নের উত্তর চাইলে একটি নাম-ই আসবে সবার মনেঃ হুমায়ূন আহমেদ। গত ১৩ই নভেম্বর ছিল তার জন্মদিন। এ উপলক্ষে তার লেখা আমার প্রিয় বই নিয়েই আজকের আয়োজন।
শঙ্খনীল কারাগার

হুমায়ূন আহমেদ-এর লেখা আমার সবচেয়ে প্রিয় বইগুলোর মধ্যে এটি একটি। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের এই গল্প হয়তো সবার-ই চেনা, তবুও যতবারই পড়ি, এই বইয়ের প্রতি ভাল লাগাটা আমার কিছুতেই কমবে না।


বোতল ভূত

বাচ্চাদের জন্য বেশ কিছু লেখা আছে হুমায়ূন আহমেদ-এর। ছোটবেলায় যে লেখা দিয়ে হুমায়ূন আহমেদ-এর সাথে আমার প্রথম পরিচয়, সেটা হল ‘বোতল ভূত'। দারুণ মজার এই বইটি পড়ে মজা পাবেন যে কোনও বয়সের মানুষ।

কোথাও কেউ নেই

বাকের ভাই-কে চেনেন না বা তার গল্প শোনেননি, এমন মানুষ বাংলাদেশে বিরল। আর মুনা-এর মতো শক্তিশালী নারী চরিত্রও বাংলা সাহিত্যে খুব কম-ই আছে। তাদের দুজনের গল্প ‘কোথাও কেউ নেই’; যা ভালোবাসার অনন্য এক গল্প শোনায়।

মিসির আলি সমগ্র

‘মিসির আলি’ রহস্যময় এক চরিত্র, যাকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো উপন্যাস লেখা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে আলাদা করে বলতে গেলে ‘দেবী’ আর ‘অন্যভুবন’-এর কথা বলতেই হয়। এই বইগুলো না পড়া হয়ে থাকলে লেখক হুমায়ূন অচেনা-ই থেকে যাবেন।

আগুনের পরশমণি

মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া, সম্পৃক্ততা আর অনুভূতির কাহিনী ‘আগুনের পরশমণি’, যা নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ পরবর্তীতে চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছিলেন।

হোটেল গ্রেভার ইন

লেখকের আত্মজীবনীমূলক বই এটি। প্রথমবার দেশের বাইরে যাওয়া, সেই সাথে নতুন পৃথিবী চেনার অভিজ্ঞতা নিয়েই তিনি লিখেছিলেন এই বইটি। নতুন প্রবাসীরা এই বইয়ের সাথে নিজের জীবন সহজেই মিলিয়ে নিতে পারবেন।

তোমাকে

তিন বোন আর বাবাকে নিয়ে এই উপন্যাসের কাহিনী। মা-হীন তিন কন্যার পিতার ছায়ায় বড় হয়ে ওঠার সংগ্রামের গল্প ‘তোমাকে’।

তেঁতুল বনে জোছনা

আনিস ডাক্তারের সাথে নবনীর ভালোবাসা আর বিচ্ছেদের কাহিনী ‘তেঁতুল বনে জোছনা’। এই বইয়ে নবনী আর তার বাবার সম্পর্কটা খুব প্রিয় আমার।

মধ্যাহ্ন

এই বইয়ের গুণগত মান নিয়ে মানুষের মাঝে দ্বিমত দেখেছি। কেউ বলেন অসাধারণ, কেউ বলেন অখাদ্য। আমার মতে, এই বই মোটামুটি মানের। তবে হুমায়ূন আহমেদ-এর সেরা বইয়ের তালিকায় নিশ্চয়ই থাকবে এই বই।

বৃষ্টি বিলাস

একটি মধ্যবিত্ত প্রেমের টানাপোড়নের গল্প। সব প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে ভালোবেসে জীবন পার করতে চায় শামা আর আতাউর। হুমায়ূন-এর লেখার একটা বিশেষত্ব আছে। উনি লেখার শেষ অংশটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাঠকের হাতে ছেড়ে দেন। ‘বৃষ্টি বিলাস’-এর এই ব্যাপারটি পাঠককে স্বাধীনতা দিয়েছে সুন্দর এক সমাপ্তির আশা দেখার; যা আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে।

No comments :

Post a Comment